সকালে ঘুম থেকে উঠে কী খেলে শরীর সবচেয়ে বেশি উপকার পায়—এই প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, খালি পেটে একটি পাকা কলা খাওয়া শরীরের জন্য একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর অভ্যাস। নিয়মিত খেলে শরীরের ভেতরে ধীরে ধীরে একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।
![]() |
| প্রতিদিন খালি পেটে কলা খেলে শরীরে যে অবিশ্বাস্য পরিবর্তনগুলো হয় |
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত——
১. দ্রুত এনার্জি বাড়ায়
ডায়েটিশিয়ানদের মতে কলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি জোগায়।
সকালের দুর্বলতা, ঝিমুনি ও ক্লান্তি কম হয়।
২. হজম শক্তি উন্নত হয়
কলায় থাকা ডায়েটারি ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা অনেকটাই কমে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কলার পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়াম ব্যালান্স ঠিক রাখে। ফলে নিয়মিত কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
খালি পেটে কলা খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে। অপ্রয়োজনীয় খাওয়া কমে, ফলে ওজন ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
৫. মানসিক চাপ কমায়
কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান শরীরে সেরোটোনিন তৈরি করে। এর ফলে মন ভালো থাকে, টেনশন ও হতাশা কমে।
৬. হার্ট সুস্থ রাখে
ডায়েটিশিয়ানদের মতে, নিয়মিত কলা হৃদযন্ত্রের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং হার্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৭. পেশি ও স্নায়ু শক্তিশালী হয়
ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
দৈনন্দিন কাজে বেশি ফ্রেশ অনুভব হয়।
৮. ত্বক উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে
ভালো হজম ও ডিটক্স প্রক্রিয়ার কারণে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে, ব্রণও কমতে পারে।
ডায়েটিশিয়ানের কিছু পরামর্শ নিম্নরুপঃ ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে পুরুষ মহিলা এমনকি শিশুরাও চিন্তিত।অবশ্য এই আধুনিক যুগে চিন্তিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত স্থুলতা হার্ডের জন্য ঝুকিপূর্ণ। আর এই ঝুকি কমাতেই অনেকেই ডায়েট করে থাকেন।এই সময়ে আপনাদের পুষ্টির সবচেয়ে বড় যোগান দিতে পারে একটি মাএ পাঁকা কলা। তবে কলা খাওয়ার আগে নিচের বিষয়গুলো মনে রাখুন, ★ডায়েটের সময় সকালে ১টি মাঝারি কলা যথেষ্ট ★খালি পেটে অতিরিক্ত কলা খাওয়া ঠিক না ★ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
উপসংহার
প্রতিদিন খালি পেটে কলা খাওয়া শরীরের শক্তি, হজম, হার্ট ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।অনেক সময় আপনারা পুষ্টিবিদদের মুখে মজা ছলে শুনে থাকবেন, প্রতিদিন নিয়ম করে কলা খান পুষ্টি আর ভিটামিনের অভাব দূর করুন। তবে সবকিছুতেই যেমন পরিমিতি দরকার, এখানেও তাই,নিজের শরীর বুঝে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। আজকের মতো আমাদের আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি।শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কিছু ঘরোয়া ট্রিপস নিয়ে। ততক্ষণ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
